শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

নিকলীতে সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় জনভোগান্তি 

নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

নিকলীতে সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় জনভোগান্তি 

কিশোরগঞ্জে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নোয়াপাড়া বাংলাবাজার-গোবিন্দপুর-বড়কান্দা সংযোগস্থল নরসুন্দা নদীর খালের ওপর নির্মিত সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ১১ বছর ধরে চার গ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ কারণে সেতুটি জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। 

ফলে এ সেতু দিয়ে মালসহ যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া নদীর দুইপারের গোবিন্দপুর, বড়কান্দা ও আছানপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে একমাত্র নোয়াপাড়া বাংলাবাজারে যাতায়াতে সেতুটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। 

তাছাড়া প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে টেঙ্গুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই এটি জনগণের কোনো কাজে আসছেনা বলে জানান এলাকাবাসী। 

দামপাড়া ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি, টেংগুরিয়া ও নোয়াপাড়া এলাকায় অনেক কাঁচা রাস্তা থাকায় এমনিতেই এলাকার লোকজন যাতায়াতে খুবই ভোগান্তির শিকার হয়। 

বাংলাবাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন মিয়া ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিয়া বলেন, সেতু নির্মাণ করার সময় আমরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ঠিকাদারকে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য বারবার বলেছি। কিন্তু ঠিকাদার মাটি না ফেলেই বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এখন প্রতিবছর বাজারের ব্যবসায়ীদের টাকায় সেতুর দুই পাড়ে কিছু মাটি ফেলি মানুষ দুই পায়ে হাটার জন্য। 

স্থানীয় রুবেল মাহমুদ জানান, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরা সেতুটিতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে যায়। দামপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আ. মন্নান বলেন, প্রথমে আমি জানিনা যে সেতু নির্মাণের সাথে সংযোগ সড়কের টাকা আছে। 

যখন জানতে পারলাম তখন ঠিকাদারকে কয়েকবার বলেছি। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করেই চলে গেছে। বর্তমানে একই ওর্য়াডের ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন জানান, সেতু নির্মাণ হলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এখনো কমেনি। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হলেও অদৃশ্য কারণে তখন সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এতে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের টাকাগুলো গচ্ছা গেছে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় এমনটি হয়েছে।

সে সময়ে নিকলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সেতুটি নির্মাণের পর ঠিকাদার সেতুর দুই পাড়ে বালু মাটি দিয়ে ভরাট করার পর বিল দেয়া হয়েছে। বর্ষার পানির স্রোতে হয়তো সেতুর দুই পাড়ে বালু সরে গেছে। বর্তমানে কী অবস্থা তা আমার জানা নাই। ইউএনও মোছা. শাকিলা পারভিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

টিএইচ